
স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের দুবাগে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নুল ইসলাম (৪৫) কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগের শেষ নেই। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে তিনি ধর্ষকের সাথে তার বিয়ের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুইদিন তার বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ভিকটিমকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৩মার্চ শুক্রবার দুবাগের গজুকাটা গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতারকৃত সাজন আহমদ প্যানেল চেয়ারম্যানের অটোরিক্সার চালক। এই সুবাদে ধর্ষক সাজন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নুল তার নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেখানে থাকাবস্থায়ও ওই স্কুল ছাত্রী সাজনের ধর্ষণের শিকার হয়। এতে জয়নুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ি হওয়ায় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নুল ইসলাম ওই এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান, মাদক ব্যবসাসহ সবকিছুতে তার সম্পৃক্ততা ছিল। বিগত দিনে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অপরদিকে ইউপি সদস্য জয়নুল ইসলাম গ্রেফতারের পর তার সহযোগীরা ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী।
সংবাদটি শেয়ার করুন।