
পিয়াজের দাম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দু-একদিনের মধ্যে পিয়াজের বড় চালান দেশে পৌঁছালে দাম দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে প্রচুর পিয়াজ রয়েছে, প্রতিদিন আমদানিকৃত পিয়াজ আসছে। পিয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দাম কম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পিয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পিয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি টন পিয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়।
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পিয়াজ আমদানি শুরু করেছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়। সমপ্রতি মিয়ানমারও পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে, বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। আরও জানানো হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করেছে, নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের পিয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধ পিয়াজ মজুত, কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা, স্বাভাবিক সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশের বেশ কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিসর ও তুরস্ক থেকে বেশি পরিমাণে পিয়াজ আমদানি করছে। দু-একদিনের মধ্যে এসব পিয়াজের চালান দেশে পৌঁছালে দ্রুত মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। তাছাড়া, নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন পিয়াজ বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গৃহিত পদক্ষেপগুলো হলো- আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পিয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পিয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পিয়াজ খালাস করা হচ্ছে। এলসি’র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পিয়াজ বন্দরে খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পিয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পিয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।