
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ইয়াবা বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় দুই মেয়ের সামনেই হাত-পা বেঁধে নগ্ন করে মোটরশ্রমিক জসিমকে নির্যাতনের অভিযোগে হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। হাসান আটকের খবরে পুরো এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকার মানুষ আনন্দিত হয়েছে।
নির্যাতনকারী মো. হাসান নিজেকে কালমা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের কোনো পদে নেই বলে স্থানীয় যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে।
নির্যাতনকারী হাসান কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রী বাড়ির আবু ড্রাইভারের ছেলে। মোটরসাইকেল চালক জসিমকে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বিক্রির জন্য নানাভাবে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল হাসান। জসিম তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ডাওরী বাজারে জনসম্মুখে উলঙ্গ করে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাসান।
নির্যাতনের ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা জানান, হাসান যুবলীগের নানা কর্মসূচিতে মাঝে-মাঝে উপস্থিত থাকতো। তবে যুবলীগে তার কোনো পদ নেই।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রিমন পঞ্চায়েত বলেন, আটক হাসান যুবলীগের কেউ নয়। তাকে আমরা চিনি না।
লালমোহন থানা পুলিশের অরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, হাসান কর্তৃক এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের ভিডিওটি ২০১৮ সালের। হাসানকে রোববার রাতে ডাকাতি মামলায় আটকের করার পর ওই ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে। নির্যাতনের স্বীকার জসিমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্র আইনে চারটি মামলা রয়েছে। নির্যাতনকারী হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও হালিশহর থানায় অস্ত্র, মাদক, এবং লালমোহন থানায় ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।