প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশনার ১৫ বছর: আগামী প্রজন্ম যখন মা*নবতার চশমা

admin
প্রকাশিত মে ১, ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ণ
প্রকাশনার ১৫ বছর: আগামী প্রজন্ম যখন  মা*নবতার চশমা

মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম:প্রকাশনার ১৫ বছরে পদার্পন করেছে আগামী প্রজন্ম। প্রকাশনার শুরু ২০০৯ সালের ১লা মে। কিন্তু এর স্বপ্ন, ধারণা ও উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। পত্রিকাটি ছিল স্বপ্ন, জেদ আর অভিমানে ভরা। অনেক প্রশ্নের জবাব নিয়ে আগামী প্রজন্ম প্রকাশিত হয়। একটি পত্রিকা প্রকাশ করে ১৪ বছর অত্রিক্রম করা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। এর জন্য যে ত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রয়োজন, তার কিছুটা হলেও করতে পেরেছি বলে আমি মনে করি। পত্রিকাটির শুভ জন্মদিনে পাঠকদের অভিনন্দন।

সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক নৈরাজ্য দূর করে আগামী দিনগুলোতে সমাজকে মানবিক করে গড়ে তুলতে আগামী প্রজন্ম অধিকতর গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে-এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।

আগামী প্রজন্ম আজ শুধু একটা ছাপা খবরের কাগজ নয়, অন্যতম ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম। এখনকার সময়ে সংবাদপত্রের জন্যও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে চলে এসেছে। পাঠকের চাহিদাও বহুমুখী হয়ে গেছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিদিন। নতুন করে আমাদের শিখতে হচ্ছে। সংবাদ কীভাবে লিখতে হবে, শিরোনাম কেমন হলে পাঠক আগ্রহী হবেন; আরও কত কিছু। সত্যি কথা হচ্ছে, সংবাদপত্রের প্রিন্ট এডিশনের প্রভাব এখন আর আগের মতো একচ্ছত্র নেই। না হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিভিন্ন আঙ্গিকে সংবাদ এখন বিনা মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পাঠক বা দর্শকের দোরগোড়ায়। এসব সংবাদের বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা থাকুক আর না-ই থাকুক, পাঠক ও দর্শকের কাছে সংবাদের দ্রুত উপস্থিতিটা বড় করে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া এই সংবাদ পাওয়ার জন্য বাড়তি টাকাও খরচ করতে হচ্ছে না। যেমন—অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও কথিত ফেসবুক টেলিভিশন। এ দুই মাধ্যমেই টেক্সট ও ভিজ্যুয়াল সংবাদ পাওয়া যায় বিনা মূল্যে। তবে সমস্যা হলো, এ দুই মাধ্যমেই প্রিন্টের মতো বিস্তারিত সংবাদের অনুপস্থিতি পাঠক ও দর্শকের তুষ্টি পূরণে অক্ষম।

আমাদের ছাপাস্থান বিয়ানীবাজারের মানুষের আছে সহমর্মিতা। আছে কষ্ট সহ্য করে টিকে থাকার আর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা। পরিশ্রম করা কৃষক, মধ্যপ্রাচ্যে মগজগলা তাপে পরিশ্রম করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো শ্রমিক-এসব আমাদের প্রেরণা।

 

আমরা জানি, সত্য প্রকাশ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু সত্যের আছে নিজের শক্তি। এই যে আজ আগামী প্রজন্মর ছাপা কাগজ পড়তে যেমন উদগ্রীব পাঠক ঠিক তেমনি অনলাইন পোর্টালেরও আছে কয়েক হাজার অনুসারী।

আগামী প্রজন্ম সত্য কথা বলে। চাটুকারধর্মী বয়ানে বিশ্বাসী নই আমরা। আর সেই সত্য প্রকাশের পেছনে যদি কোনো উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তা হলো বিয়ানীবাজার তথা সমাজের মঙ্গল। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী প্রজন্ম’র শক্তি তার অগণিত পাঠক।

 

আমরা বলি, এখনই সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার সময়। আমাদের আরও অনুসন্ধানী এবং আরও সাহসী সাংবাদিকতা করতে হবে। সেটাই আগামী প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

গণমাধ্যম পরিচালনায় মূলত বড় বিনিয়োগ করা হলেই টিকিয়ে রাখা যায় না। আগামী প্রজন্মে বড় বিনিয়োগ নেই এটা সত্য। তবে আমাদের আছে প্রখর চিন্তাশক্তি। আমরা সবকিছু সামাজিক অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখি। তাই আগামী প্রজন্ম মানবতার চশমা। আমরা বিশ্বাস করি-সংবাদ হচ্ছে মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও চিন্তা-বিশ্লেষণের শক্তি। সংবাদ হচ্ছে জীবনের চালিকাশক্তি।

সত্য তথ্য প্রকাশের কাজটা সাহসের সঙ্গে, সততার সঙ্গে করে যাওয়ার মাধ্যমে গণমানুষের বিজয়যাত্রায় আগামী প্রজন্ম তার ভূমিকা পালন করে যেতে দ্বিধা করবে না। সেই শুরুর দিনের প্রতিশ্রুতি আমরা এখনো ভুলিনি। কখনো ভুলব না।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, আগামী প্রজন্ম ও সাধারণ সম্পাদক, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.