মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম:
না এটি কোন বিস্ময় নয়, পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার ছোঁয়ায় দীর্ঘ পথ মাড়িয়ে ১৪তম বর্ষে পদার্পন করেছে আগামী প্রজন্ম। একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে একা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কত কঠিন, তা কেবল ওই জাহাজের নাবিকই জানেন। এরপরও সফলতার ১৩ বছর বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছে কেবল আত্মবিশাস। জয় করার অদম্য বাসনা পথ দেখিয়েছে, হৃদয়ে ছিল বিজয়ী হওয়ার জেদ। ১লা মে, শ্রমজীবী মানুষের সংহতির দিন। এদিনে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ করার কারণ হচ্ছে শ্রমজীবি-বঞ্চিত মানুষের কথা বলার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আমরা কিছুটা হলেও সফল করার চেষ্টা করছি।
২০০৯ সালের ১লা মে সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। কয়েক বছর ছাপা পত্রিকায় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে এখন ভার্চুয়াল জগতে সিলেটের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম একটি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। শুরু থেকে প্রতিনিয়ত ‘ছাপা সংষ্করণ’ প্রকাশিত হয়ে আসলেও বিগত কয়েক বছর ধরে এর অনলাইন/ইন্টারনেট সংষ্করণও প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত।
আমাদের বিশ্বাস, মফস্বলের ছাপা কিংবা অনলাইন পত্রিকাগুলোর মধ্যে আগামী প্রজন্ম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট নিয়ে পথ চলছে।
বহু খ্যাত-অখ্যাত পত্রিকার ভিড়ে আগামী প্রজন্ম নিজস্ব মান ধরে রাখতে পারছে। পাঠকের কাছে সমান জনপ্রিয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে পত্রিকাটি তার দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবরাখবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশের কারণে সাধারণ মানুষ পত্রিকাটির ভক্ত। ছাপার মান ও নির্ভুল বানানক্রম প্রশংসার দাবী রাখে। পত্রিকায় চোখ বুলালে তা অনায়াসেই ধরা পড়ে।
নিরপেক্ষ ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন পত্রিকাটির অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য। গ্রাম ও শহরের সংবাদকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ছাপানো হয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশিত হয় নিয়মিত। দেশবিদেশের খেলাধুলার সংবাদও নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে থাকে। এসব কারণে পাঠকের কাছে আগামী প্রজন্ম অতিপ্রিয়।
দেশের হাজারো গণমাধ্যমের ভিড়ে আগামী প্রজন্ম শুধু একটি গণমাধ্যম নয়; আরো অন্যকিছু। এটি হলো একটি চেতনার নাম; যে চেতনা পাঠকদের মানবিক, ধর্মীয় মুল্যবোধ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঐতিহাসিক শুভক্ষণে আগামী প্রজন্মের সকল পাঠক, গ্রাহক, সমালোচক, কর্মরত সাংবাদিক লেখক- বিজ্ঞাপনদাতা- শুভানুধ্যায়ী সকলকেই অফুরন্ত শুভেচ্ছা। আগামী প্রজন্মের বাঁকে বাঁকে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। কন্ঠ চেপে ধরার চেষ্টা হয়েছে; তেমনি মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতার চেষ্টাও কম হয়নি। তবে পত্রিকাটি থেমে থাকেনি, সব বাধা অতিক্রম করে আপোষহীন ভাবেই এগিয়ে চলেছে।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এখন সাংবাদিকতা ঝুকিপূর্ণ পেশা। বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সংবাদ পত্রের সংখ্যা ৩১২৮টি। এর মধ্যে দেশের কর্পোরেট হাউজগুলো যখন নতুন নতুন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করে সেটাকে ব্যবসার ‘ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে; সেখানে আগামী প্রজন্ম ব্যবসা-বানিজ্য রক্ষার ঢাল নয়; সামাজিক স্বকীয়তা- উন্নয়ন-ঐতিহ্য রক্ষার ঢাল হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করছে। নানান সীমাবদ্ধতা, আর্থসামাজিক টানাপোড়েন, সংবাদপত্র শিল্পে অস্থিরতা, বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে আগামী প্রজন্ম। সর্বক্ষেত্রে আমরা চিন্তার লড়াই অব্যাহত রেখেছি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিন্তা-চেতনায়, কর্মে যা কিছু সত্য, সুন্দর, ভালো, মহৎ, জনকল্যাণকর এবং জনগনের পক্ষে সেগুলো তুলে ধরছে আগামী প্রজন্ম। ইসলামী মুল্যবোধের ব্যাপারে আপস না করেই খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বীর অধিকার, মত ও পথকে সমান গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামী চেতনা লালন করলেও বিপরীতমুখী বাম রাজনীতির চিন্তা-চেতনা ও মতামত গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করছে। আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বেঁচে থাকুক বহুদিন প্রিয় পত্রিকা আগামী প্রজন্ম।
-সম্পাদক ও প্রকাশক
<p style="text-align: center;">সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক</p> <p style="text-align: center;">সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম</p> <p style="text-align: center;">প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।</p> <p><hr></p> <p style="text-align: center;"><span class="x193iq5w xeuugli x13faqbe x1vvkbs x1xmvt09 x1lliihq x1s928wv xhkezso x1gmr53x x1cpjm7i x1fgarty x1943h6x xtoi2st xw06pyt x1603h9y x1u7k74 x1xlr1w8 xzsf02u x1yc453h" dir="auto"><span class="x1lliihq x6ikm8r x10wlt62 x1n2onr6 x1120s5i">বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ</span></span> উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট । <br>মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২ ইমেইলঃagamiprojonma@gmail.com</p>
Copyright © 2025 Agami Projonmo. All rights reserved.