প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

হুমায়ূনকে হারানোর দিন, হুমায়ূনকে স্মরণের দিন

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৯, ২০২৩, ০৬:২৫ অপরাহ্ণ
হুমায়ূনকে হারানোর দিন, হুমায়ূনকে স্মরণের দিন

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

‘যদি মন কাঁদে চলে এসো এক বরষায়‘, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’, ‘চাঁদনী পসরে কে আমায় স্মরণ করে’- কথাসাহিত্য রচনার পাশাপাশি এমন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন কথার জাদুকর কিংবদন্তি উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ।

 

‘কথা জাদুকর’ খ্যাত এ উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ বর্ষাকাল, বৃষ্টি ও চাঁদানী রাত ভীষণ পছন্দ করতেন। তার প্রিয় বর্ষা ঋতুতেই আজকের এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে অনন্তলোকে পাড়ি জমিয়েছেন এ নন্দিত কথাসাহিত্যিক। অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীরা আজও হুমায়ূন আহমেদকে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মনে রেখেছেন। মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করছেন হৃদয়ের গভীর থেকে। আজ সারাদিন ‘হুমায়ূনকে হারানোর দিন, হুমায়ূন স্মরণের দিন।

 

২০১২ সালের ১৯ জুলাই বর্ষণমুখর দিনে অগণন অনুরাগীদের চোখের জলে ভাসিয়ে চির বিদায় নিলেও তিনি ঘুরে-ফিরে প্রতিদিন-ই আসছেন সবার মানসপটে। হুমায়ূন আহমেদ নাটক, সিনেমা ও সাহিত্যে তার সৃষ্টি চরিত্রগুলো দিয়েই স্থায়ী নিবাস গড়েছেন এদেশের মানুষের মনে।

ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ সব শাখাতেই সমানভাবে সফল এই নন্দিত লেখক। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই যেন সোনা ফলেছে।

 

বাংলাসাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র ও গানে পালাবদলের এ কারিগর ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়ে নিজের রাজসিক উপস্থিতি জানান দেন। এরপর লিখেছেন শতাধিক গ্রন্থ। টেলিভিশন নাটকেও চমক দেখিয়েছেন তিনি। বদলে দেন নির্মাণের বাঁক। তিনি বাংলাসাহিত্যে কায়েম করেন হুমায়ূন রাজত্ব।

১৯৯০ সালের শুরুর দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩ সালে নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমাটি। এটি ২০০৬ সালে ‘সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র’ বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এ ছাড়াও এটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। এরপর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘৯ নম্বর বিপদ সংকেত’। ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।

 

হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনার সর্বশেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পায় ২০১২ সালে। নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

 

তবে হুমায়ূন আহমেদ সর্বজন প্রিয় হয়ে আছেন হিমু ও মিসির আলী চরিত্রের স্রষ্টা হিসেবে। এছাড়াও তাকে বলা হয় তারকা গড়ার কারিগর। তার হাত ধরে অনেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

 

মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। মাত্র ৬৪ বছরের আয়ু পেয়েছিলেন তিনি। তার প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুতলায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.