
ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত হবিগঞ্জে মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার হাজি দুলাল আহমেদ দুলনের স্ত্রী নবীউন নাহার মৌসুমী।
দুলন উপজেলার গুচাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মেসার্স আল হাসান অ্যান্ড দিহান ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী এবং আমরোড বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী আশরাফ, এসআই শহিদুল ইসলাম ও এসআই বাতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর রাত দেড়টায় ওসি নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুলনকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে থানায় নির্মমভাবে নির্যাতন করে পুলিশ। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওসি নাজমুল হকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চা পাতা, টায়ারসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ মালপত্র চুনারুঘাটে প্রবেশ করে। দুলনসহ এলাকাবাসী বিষয়টি বিজিবিকে জানান। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালপত্র আটক করে। এর পর থেকেই ওসিসহ চোরাকারবারিরা দুলনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুলনকে আটক করে নির্যাতনের পর গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী মৌসুমী বলেন, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার রিয়াজ আহমেদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সৌজন্যে : সমকাল
সংবাদটি শেয়ার করুন।