
স্টাফ রিপোর্টার:
গত ৩ দিনে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ থানায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে মোট ৫টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিয়ানীবাজার থানায় দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে গোলাপগঞ্জে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাংসদ নাহিদকে প্রধান আসামী করে আরও দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক এ দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে তার বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় আরোও একটি মামলা দায়ের করেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য।
একটি মামলা গোলাপগঞ্জে পুলিশ বিজিবি ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৪) এর স্ত্রী খাদিজা মাহিরুল (মামলা নং-১০-২৫-০৮-২০২৪ইংরেজি ) বাদী হয়ে দায়ের করেন। এই মামলায় প্রধান আসামীকে করা হয় সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে।
একই মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল সহ মোট ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০০/১১০ জনকে আসামী করা হয়।
অপর একটি মামলাও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করে (মামলা নং-১১, ২৬-০৮-২০২৪ইংরেজি) ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের নিহত মিনহাজ (২৩) এর বড় ভাই সাঈদ আলম।
এই মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল সহ মোট ৫৫জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।
এর আগে পুলিশ-বিজিবির গুলিতে নিহত উপজেলার পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র গৌছ উদ্দিন হত্যার ঘটনায় তার ভাতিজা রেজাউল করিম ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় আরেকটি হত্যা মামলা (মামলা নং-০৮/১৩৬, ২৩-০৮-২০২৪ইংরেজি) দায়ের করেন। এই মামলাও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপিকে প্রধান আসামী করা হয়।
অপরদিকে বিয়ানীবাজার থানায় নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে সোমবার পৃথক দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত ময়নুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন বেগম বাদী হয়ে একটি এবং অপর নিহত রায়হান উদ্দিনের ভাই বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেন। দু’টি মামলাই রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ।
সংবাদটি শেয়ার করুন।