
-মোছাম্মৎ স্বপ্না বেগম
আমি আর স্কুলে যাব না। ম্যাডাম অনেক বকুনি দিছেন। মা কোন অবস্থায় তাকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারছে না। বলছিলাম আব্দুর রহমানের কথা। ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ত। অনেক দুষ্টু ছিল। ক্লাসে মনযোগী ছিল না। একদিন আমার খুব রাগ হয়েছিল।
অনেক বকুনি দিয়েছিলাম। অভিমানে সে কøাস থেকে বেরিয়ে বিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে গিয়ে বসল। কাউকে বলে যায়নি। রাগটা আরও বেড়ে গেল। পুকুর পাড়ে বসে আমাকে দেখিয়ে খাতাগুলো ছিড়ে পানিতে ফেলতে লাগলো। পরদিন তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে জানলাম। সে ম্যাডামকে খুব ভালোবাসে। বকুনিটা সে মেনে নিতে পারেনি। তাই সে স্কুলে যাবে না।
আমি তখন ওর বাড়ি গিয়ে একটু আদর করলাম,বুঝালাম। সে শান্ত হয়ে গেল। স্কুলেও আসল। ক্লাসে মনযোগী হল এবং একজন ভালো, নিয়মিত ছাত্র হয়ে উঠল। সকল শিক্ষক, সহপাঠীদের প্রিয় হয়ে উঠল। তখন আমি নিজের ভুল বুঝতে পারলাম।
শিশুরা আদর ভালোবাসা চায়। বকুনির পরিবর্তে অমনযোগীতার চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ফলাবর্তন দিলে ভালোবাসলে সেও হয়ে ওঠে একজন আদর্শ ছাএ। শিশুকে রাগ না দেখিয়ে সে কী করতে চায় তা বুঝতে হবে এবং তার চাহিদার ভিওিতে শিখন নিশ্চিত করতে হবে।-লেখক-শিক্ষিকা
সংবাদটি শেয়ার করুন।