প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

‘যেখানে আলো নেই সেখানে বিদঘুটে অন্ধকার’-মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম

admin
প্রকাশিত মে ৪, ২০২০, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
‘যেখানে আলো নেই সেখানে বিদঘুটে অন্ধকার’-মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম

বর্ষপূর্তির বিশেষ সম্পাদকীয়….

দিনে দিনে বর্ষ হয়ে এল শেষ। গত ১লা মে সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম ১২তম বছরে পা রেখেছে। এর আগে বহুপথ মাড়িয়ে পার করেছে ১১টি বছর। এখন এই পত্রিকাটিকে আর সাপ্তাহিক বলা যাবেনা। কারণ যখনকার সংবাদ তখনই পাঠকের কাছে প্রচার করছে আগামী প্রজন্ম।
আগের বছরগুলোর ন্যায় গত বছরটিও নথিবদ্ধ হবে আগামী প্রজন্মের ইতিহাসের পাতায়। একটি বছর যখন চলে যায়, তখন সেই পুরোনো সত্যটিই চকিতে মনে পড়ে-সময় আর নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না।

সময় এগিয়ে যায়। তার পেছনে ফেরার তাগিদ নেই। সেই তাগিদ আছে মানুষের। মানুষের পেছনে থাকে অভিজ্ঞতা, সামনে অপার সম্ভাবনা। সম্ভাবনাকে বিকশিত করে তুলতে প্রয়োজন অভিজ্ঞতা। এগিয়ে চলতে চলতে পেছন ফিরে তাকাতে হয়।

বছর ফুরিয়ে এলে তাই সমাজ, পেশাগত ও রাষ্ট্রজীবনে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাবে নজর বুলিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে জাগে। দরকারও হয়। একই সময় কারও জন্য হয়ে ওঠে দারুণ সাফল্যে স্বর্ণময় উজ্জ্বল, কারও ক্ষেত্রে নিষ্ফলতায় নিমজ্জিত। এই নিরিখে পেশাগত জীবনে এই বছরটিও প্রভূত সাফল্য বয়ে এনেছে আমাদের ক্ষেত্রে। যাঁরা সঠিক পরিকল্পনায় প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যমী হয়েছেন, তাঁরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন বা কাছাকাছি গিয়েছেন। তাঁদের সবার প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা।

আমরা কোন সংবাদকে ছোট করে দেখিনি। যে সংবাদ যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে ছাপা দরকার, আমরা তা-ই করেছি। রাজনৈতিক সকল সংবাদ প্রকাশ করেছি। তবে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করিনি। কোন নেতার সাফাই বা বদনাম ছেপে বিশেষ মহলের দৃষ্টিতে পড়িনি।
গত বছর আমরা ছাপা সংস্করণ নিয়মিত প্রকাশ করিনি। অনলাইন আর প্রযুক্তির যুগে ছাপা পত্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্য সবার মত আমরাও উদ্বিগ্ন। তাই আমরা অনলাইনে গুরুত্ব দিয়েছি। এই সময়ে আমরা পাঠক বৃদ্ধি করতে অনলাইনের ‘লাইক’ কিনে আনিনি। আমরা যেমন দ্রæত পথ চলছি তেমনি পাঠকের আস্থাও অর্জন করছি।

এখানে একটি কথা বলা দরকার। বিয়ানীবাজারের অনেকেই সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমি উত্তরে শুধু বলবো-যেখানে আলো নেই, সেখানে বিদঘুটে অন্ধকার। আমরা মফস্বলে থেকে হয়তোবা উজ্জল আলো বিচ্ছুরিত করতে পারছিনা তবে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে এই সমাজের অন্ধকার মানুষকে পথ চলতে সহায়তা করছি।

‘বর্ষশেষ’ কবিতায় কবিগুরু বলেছিলেন, ‘শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি,/ শরমের ডালি,/ নিশি-নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের/ ধূমাঙ্কিত কালি,/ লাভক্ষতি-টানাটানি, অতি সূ² ভগ্ন-অংশ-ভাগ,/ কলহ সংশয়—? সহে না সহে না আর জীবনের খণ্ড খণ্ড করি/ দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়/’ কিন্তু সয়ে যাচ্ছি আমরা।’-সম্পাদক-সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.