প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালালেন মা

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালালেন মা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পর নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন তার মা।শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।কেউ যদি শিশুটি দত্তক নিতে চায় তা হলে তাকে সেখানেই যোগাযোগ করতে হবে বলে বুধবার সকালে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন।এর আগে সোমবার ভোরে শিশুর মা পালিয়ে যান।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টায় কে বা কারা অজ্ঞাতনামা এক গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রেখে যায়।পরে ওই নারীকে দেখে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোতাহের হোসেন সেন্টু তাকে গাইনি বিভাগে ভর্তি করান। রাত ৩টার দিকে ওই নারী এক ছেলেসন্তান প্রসব করেন। ওই দিনই খুব ভোরে সবার অগোচরে সদ্য জন্ম দেয়া শিশুসন্তানকে হাসপাতালে রেখে তার মা পালিয়ে যান।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, নবজাতককে রেখে তার মা চলে যাওয়ার পর আমরা শিশুটির খোঁজখবর রাখছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের তত্ত্বাবধানে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবাল হোসেন শিশুটিকে চিকিৎসা দেন। বর্তমানে শিশুটি অনেকটা সুস্থ আছে।হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোতাহের হোসেন সেন্টু বলেন, রোববার রাতে তিনি ডিউটি করার সময় ওই নারীর কান্না শুনে তাকে নিয়ে গাইনি বিভাগে ভর্তি করান। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কিনে দেন। রাত ৩টার দিকে তিনি একটি ছেলেশিশু জন্ম দেন। সকালে তিনি শুনতে পান নবজাতককে রেখে তার মা উধাও হয়ে গেছেন।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি শিশুটির খোঁজখবর নেই। পরে পুলিশ ও সমাজসেবা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করি।তিনি বলেন, শিশুটি আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। তার কাপড়-চোপড় ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেউ যদি শিশুটি দত্তক নিতে চায়, তা হলে তাকে সেখানেই যোগাযোগ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.