বুড়িগঙ্গা এখন আর প্রমত্তা নয়। অনেক শান্ত ও ধীরস্থির বুড়িগঙ্গার বুকেই লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটল গত সোমবার সকালে। ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। প্রথম দিনই উদ্ধার করা হয় ৩২ জনের মৃতদেহ। দ্বিতীয় দিনের তল্লাশিতে আরো একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে একজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌদুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ ঘটানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর একটি ভিডিও দেখার কথা জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনার যে ধরন, তাতে তাঁর মনে হয়েছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি ‘পরিকল্পিত’। শান্ত নদীতে সকালবেলা একটি লঞ্চকে আরেকটি লঞ্চ ধাক্কা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে—কার দোষে এ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় যে ৩৩ জন যাত্রীর জীবন গেছে, তাদের পরিবারের জন্য এটা অপূরণীয় ক্ষতি। লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা-ও সহজে দূর হবে না।
প্রতিটি লঞ্চডুবির পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে থাকে। এতে কিছু সুপারিশও থাকে। আজ পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটির সুপারিশ কি কার্যকর হয়েছে? দেশের নৌপথে কয়টি ফিটনেসবিহীন নৌযান বা লঞ্চ-স্টিমার চলছে তার হিসাব কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আছে? ফিটনেসবিহীন লঞ্চ বা নৌযানের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? নৌপথে নিয়ম মেনে সব নৌযান চলাচল করছে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সব নৌযানের ফিটনেস। সোমবারের দুর্ঘটনার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডাব্লিউটিএর পক্ষ থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আমাদের দেশে নৌদুর্ঘটনা কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে অনেক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা আশা করব, এ দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
<p style="text-align: center;">সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক</p> <p style="text-align: center;">সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম</p> <p style="text-align: center;">প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।</p> <p><hr></p> <p style="text-align: center;"><span class="x193iq5w xeuugli x13faqbe x1vvkbs x1xmvt09 x1lliihq x1s928wv xhkezso x1gmr53x x1cpjm7i x1fgarty x1943h6x xtoi2st xw06pyt x1603h9y x1u7k74 x1xlr1w8 xzsf02u x1yc453h" dir="auto"><span class="x1lliihq x6ikm8r x10wlt62 x1n2onr6 x1120s5i">বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ</span></span> উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট । <br>মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২ ইমেইলঃagamiprojonma@gmail.com</p>
Copyright © 2025 Agami Projonmo. All rights reserved.