
স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার অন্যান্য হাটবাজারে এবার বসবেনা মৌসুমী ইফতার ব্যবসায়ীরা। এমনকি হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানও বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ থাকার ঘোষণা বহাল থাকায় এসব প্রতিষ্টানেও এবার বিক্রি হবেনা ইফতারি সামগ্রী।
ফলে মোরগ পোলাও, পেঁয়াজু, চানা ভুনা, বেগুনি, জিলাপি, চিকেন কাঠি, শামী কাবাব, সুতি কাবাব, কোয়েল পাখির রোস্ট, শাহী জিলাপি, বাখরখানি, দইবড়া, দইবুন্দিয়া, ফিরনি, কাশ্মিরি শরবত, চিকেন সাসলিক, চিকেন ড্রামস্টিক, চিকেন ললিপপ, পাতলা খিচুড়ি, চিকেন কাবাব, বিফ জালি কাবাবসহ বিভিন্ন ধরনের আখনি ও বিরিয়ানি এবার তৈরী করতে হবে বাসা-বাড়ির গৃহিণীদের। তবে রসনা বিলাসী বিয়ানীবাজারের মানুষের কাছে এমনিতেই অন্যান্য ইফতারি সামগ্রীর পাশাপাশি পাতলা খিচুড়ির কদর একটু বেশী।
আর মাত্র একদিন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। মুসলিম উম্মাহের দুয়ারে কড়া নাড়ছে পুণ্যময় এ মাসটি। রমজান মাস মানেই বিয়ানীবাজারের রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে- ফুটপাতে হরেক স্বাদের এবং বিভিন্ন জাতের ইফতারির পসরা সাজানো দোকান। আসরের সময় থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড়, মাগরিবের আজান হলেই অনেক দোকানের সামনে কিংবা ফুটপাতে চেয়ার পেতে রোজাদারদের ইফতার খাওয়া- এসব কিছুই হবে না এবার বিয়ানীবাজারে।
কারণ- করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন রমজানে বিয়ানীবাজারসহ সারা দেশের ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতার তৈরি ও বিক্রি যেন না হয়- সেদিকে কড়া নজর রাখার জন্য সকল স্থানের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সিলেটসহ সকল রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন, বিশেষায়িত ইউনিট ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদেরকে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
নানা স্বাদের ইফতারির জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসীর রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। রমজানে পৌরশহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে হরেক রকম ইফতারি তৈরি করা হয়। মুখরোচক এসব ইফতারি কিনতে রোজাদাররাও ভিড় করেন। তবে করোনার কারণে এবার আর বিয়ানীবাজারে এমন দৃশ্য দেখা যাবে না।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবারের রমজানে ফুটপাতে সব ধরনের ইফতার তৈরি ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশপ্রশাসন।
এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘এবার আসন্ন পবিত্র রমজান একটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে পালিত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা সীমিত রয়েছে। রমজানে ধর্মাচার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে হবে।’
বেনজির আহমেদ আরও বলেন ‘কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অথবা ইফতার বিতরণের নামে জনসমাগম যেন না করেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তবে ত্রাণ বিতরণে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রমজানে যেন কোনোভাবেই ফুটপাতে ইফতার তৈরি ও বিক্রি না হয় সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে।’
সংবাদটি শেয়ার করুন।