প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারের বহু মানুষের রক্ত ঝরেছে মাধবপুরের পিচঢালা পথে

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারের বহু মানুষের রক্ত ঝরেছে মাধবপুরের পিচঢালা পথে

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঝুকিপূর্ণ স্থান মাধবপুর উপজেলা অংশ। এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে রাজধানী ঢাকার সংযোগ সড়ক। এখানকার মহাসড়কের পাশঘেঁষে দু’দিকে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক অনেকগুলো রেস্তোরা। সময়ের বিবর্তনে ঢাকাগামী সাধারণের জন্য মাধবপুর উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার হচ্ছে মাধবপুর উপজেলা। এটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। সিলেট থেকে যেমন মাধবপুরের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার ঠিক তেমনি ঢাকা থেকেও মাধবপুরের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার। এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অংশে বেশ গতি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। দিনের পুরোটা সময় ব্যস্থ থাকা এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন ছুটে চলে। বিশেষ করে মাধবপুর এলাকার কাছাকাছি অংশে সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্টান গড়ে ওঠায় মহাসড়কের এই অংশে বেপরোয়া গতিতে ট্রাকও চলাচল করে।

মাত্র কয়েকবছরের ব্যবধানে মাধবপুরে বিয়ানীবাজারের অন্তত: ১০জন লোক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। গুরুতর আহতরা এখনো দূর্ঘটনার কথা মনে করে শিউরে ওঠেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন বলেন, গত ২০১৭সালের অক্টোবর মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাধবপুরে সৃষ্ট এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন বিয়ানীবাজারের ৬ তরুণ ব্যবসায়ী। সর্বশেষ একই এলাকায় ২৪ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসলেও বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন রুহুল আমিন (৩৪) নামের এক যুবক। এর আগে মাধবপুরের পিচঢালা পথে পৃথক দূর্ঘটনায় বিয়ানীবাজারের আরো ৩ ব্যক্তি নিহত হন। এছাড়া মাধবপুরে দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিয়ানীবাজার থেকে ঢাকা যাতায়াত করা সবগুলো বাস। এসব দূর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও আহতরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে সবচেয়ে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে ২০১৭সালের অক্টোবরে।

মাধবপুরে দূর্ঘটনার কবলে পড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রæতগামী একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে তার সাথে থাকা ৬ জন নিহত হন। ভাগ্যগুণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি তিনি। তারমতে, মাধবপুর এলাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে অন্যান্য অংশের চেয়ে যানবাহন দ্রæতগতিতে চলে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মাধবপুর এলাকায় গত বছরে সড়ক দূর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩০জন লোক নিহত হয়েছেন।

নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মধ্যে মাধবপুর অংশ দূর্ঘটনাপ্রবল এলাকা। এই অংশে যানবাহন দ্রæত গতিতে চলে। আর দ্রæত গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কিংবা মহাসড়কে গাড়ি চালাতে অদক্ষ চালকদের কারণে এই অংশে দূর্ঘটনা তুলনামূলক বেশী। এখানে দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গাড়ির গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করে দিতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে চালকদের সচেতন করে তুলতে হবে। দূর্ঘটনা প্রবল এলাকায় যানবাহন চালাতে করণীয় নির্ধারণে চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.