বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির দাবি ছিল, ৪০০ তারা আসন পাবে। শুধু তাই নয়, মোদি তথা বিজেপির দাবি ছিল, দল একাই ৩৭০টিরও বেশি আসন পাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা দূরের কথা বিজেপি একা ২৫০টি আসনও পায়নি।
যার কারণে সরকার গড়তে মোদি-শাহ নির্ভরশীল এনডিএ-এর অন্য শরিকদের ওপরে। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির আশা ছিল, ভাল রকম জয় হাসিল করবে তারা। সেখানেও ব্যর্থতা। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ২৯টি আসন। বিজেপির ১২।
২০১৯-এ এই সংখ্যা ছিল ১৮। একই ভাবে বাংলায় বামদল নিশ্চিহ্ন। দেশ এবং রাজ্য মিলিয়ে এই সার্বিক ফলাফলে কতটা খুশি বাংলার বিনোদন দুনিয়ার তথাকথিত বামমনস্করা? জানতে ভারতের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করেছিল কৌশিক সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্রের সঙ্গে।
ভোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিনেতা, নাট্য নির্দেশক কৌশিক বলেন, এটা কি বিধানসভা ভোট? যে রাজ্যে বামদলের ফলাফল নিয়ে বক্তব্য রাখব!’ তার যুক্তি, লোকসভা এমন একটি নির্বাচন যা দেশের শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আমি এই ফলাফলে খুশি।
কৌশিক দাবি করেন, দেশের তথাকথিত দরিদ্র কৃষক বা মজুর শ্রেণিও যে কতটা সজাগ, এই নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি শুরু থেকে মিথ্যে বলে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছেন, ভোট জেতার জন্য।
তারা দেশে ধর্মের জিগির তুলে ভেদ ছড়াতে চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনের জয়লাভের চক্করে এ-ও ভুলে গিয়েছিলেন, ভারত পরধর্মসহিষ্ণু। এখানে জাতিভেদ, ধর্মভেদের স্থান নেই। তারা ভুললেও সে কথা দায়িত্ব নিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশের জনগণ।
এজন্য কৌশিক সব দেশবাসীকে তাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রায় একই কথা বলনে, পরিচালক কমলেশ্বর। তার দাবি, ভারতবর্ষের মানুষ ততটা বিজেপি তথা এনডিএ জোটের ওপরে বিশ্বাস রাখতে পারেননি। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূলের ওপরে ভরসা করেছেন। এগ্জিট পোল মেলেনি। এখন দেখার বিষয় কারা, কী ভাবে কেন্দ্রে সরকার গঠন করবেন।
বাংলায় বামদল নিশ্চিহ্ন। যাদবপুর কেন্দ্রে সৃজন ভট্টাচার্য কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি শাসকদলের প্রার্থী সায়নী ঘোষের ওপরে। কী কারণে এই বিপর্যয়? প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, এর কারণ খুঁজতে গেলে সম্মিলিত বিশ্লেষণ জরুরি। এখানে ব্যক্তিবিশেষের মতামত খুব একটা গ্রহণীয় নয়।
কৌশিকের কথার রেশ ধরেই নিজের বক্তব্য রেখেছেন অভিনেতা বাদশাও। তিনিও খুশি লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক ফলে।
তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের ‘বুলডোজ়ার’ নীতি যে কাজে এল না, তাতেই আমি খুশি। কখনও ধর্ম তো কখনও জাতিভেদ। এ ভাবে ঘরে ঘরে হিংসা ছড়িয়ে দিতে কোনো কসুর করেননি নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল। পাঁচ বছর সেই অন্যায় সহ্য করার পর ইভিএম যন্ত্রে মানুষ তার জবাব দিয়েছে। সত্যিই ভাল লাগছে।
পাশাপাশি, তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার শাসকদলকে। রাজ্যবাসী তাদের ওপরে ভরসা রেখেছে। ফলে, দলের দায়িত্ব আরও বাড়ল বলে তিনি মনে করছেন। রাজ্যে বাম দলের ভূমিকা অবশ্যই তাকে হতাশ করেছে। যদিও পার্লামেন্টে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বামদলের প্রার্থী সদস্য হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন। এই খবর কিছুটা হলেও তাকে শান্তি দিয়েছে।
<p style="text-align: center;">সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক</p> <p style="text-align: center;">সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম</p> <p style="text-align: center;">প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।</p> <p><hr></p> <p style="text-align: center;"><span class="x193iq5w xeuugli x13faqbe x1vvkbs x1xmvt09 x1lliihq x1s928wv xhkezso x1gmr53x x1cpjm7i x1fgarty x1943h6x xtoi2st xw06pyt x1603h9y x1u7k74 x1xlr1w8 xzsf02u x1yc453h" dir="auto"><span class="x1lliihq x6ikm8r x10wlt62 x1n2onr6 x1120s5i">বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ</span></span> উত্তর বাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট । <br>মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২ ইমেইলঃagamiprojonma@gmail.com</p>
Copyright © 2025 Agami Projonmo. All rights reserved.