
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:
জকিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ছালেক আহমদ ও কুটলাই হত্যা মামলায় জড়িত আসামীরা এখনো পলাতক। আদালতের সাজা পরোয়ানা নিয়ে তাদের গ্রেফতারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। জকিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি বিশেষদল এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার আরেকটি দল আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত জানান, শুধু ছালেক আহমদ হত্যাকান্ড নয়, জেলার কায়েকটি হত্যাকান্ডের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। আদালতের পরোয়ানা নিয়ে পলাতক আসামীদের গ্রেফতার কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ সেল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই সেল গঠন করা হলে দেশের সকল সীমান্তসহ আকাশ পথেও যাতে আসামীরা পালাতে না পারে তার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধ করা হবে।
সূত্র জানায়, গত ২০১৫ সালের ৭ আগষ্ট জকিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে অবস্থিত রগুরাশী বাজারে কথা কাটাকাটির জের ধরে মুমিনপুর ও বালীগ্রামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী দু’গ্রামবাসীর মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ছালেক আহমদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়।
একই ঘটনায় কুটলাই (৩৪) নামের গুরুতর আহত আরেকজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে ছালেক নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি পরে ডাবল মার্ডার মামলায় রুপান্তরিত করা হয়। মামলায় মৃত আকদ্দছ আলীর ছেলে আব্দুল নূর, আব্দুশ শুকুরের ছেলে ফজল আহমদ, রশিদ আলী খাকি মিয়ার ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ, তফজ্জুল আলী তখই মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম, মাসুক আহমদের ছেলে এবাদ আহমদ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামী করা হয়।
যদিও তদন্ত শেষে পুলিশ এজাহারনামীয়দের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে দীর্ঘ শুনানী শেষে মামলার সকল আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন। ঘোষিত রায়ে আদালত আসামী আব্দুন নূর ও ফজল আহমদের মৃত্যুদন্ড এবং আব্দুল ওয়াদুদ, আবুল হাসেম, এবাদ আহমদের যাবজ্জীবন দন্ড প্রদান করেন।
আসামীরা পলাতক থাকায় এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীলের সময়েও পেরিয়ে গেছে। তবে রায় ঘোষনার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জ থানার অফিসান ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আহাদ।
সংবাদটি শেয়ার করুন।