
জুড়ী প্রতিনিধি :: ‘এন্টিবায়োটিকের সফলতার, আপনি-আমি অংশীদার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জুড়ীতে জুড়ী বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০১৯ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কনটেইনমেন্ট, ভাইরাল হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, সিডিসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা’র আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাছিন আহমদ চৌধুরী, এম.ও.ডি.সি ডা. শহিদুল আমিন. এম.ও ডা. প্রিয়জ্যোতি ঘোষ, এম.ও ডা. ইমামুল মুন্তাসির প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শুধু মাত্র ভুল ব্যবহারের কারণে আশীর্বাদের বস্তু এন্টিবায়োটিক আমাদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে একই অবস্থা। মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০ভাগ এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়, বাকী ৭০ ভাগ ব্যবহার হয় কৃষি-খামারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন, তিনটি ধাপ না মানা, পুরো কোর্স শেষ না করা, প্রাণি ও খাদ্যদ্রব্যে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিতের আগের তা ভোগ করা ইত্যাদি কারণে আমরা এন্টিবায়োটিকের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছি।
২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিদ্যালয়ে মারা যাওয়া নয়শ জনের মধ্যে চারশ জনের মৃত্যুর কারণ এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। আমাদের দেশে ফার্মেসীতো বটেই, মুদি দোকানদারও অবাধে এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে। তা বন্ধ করতে হবে। এন্টিবায়োটিক বিষয়ে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
সংবাদটি শেয়ার করুন।