
মো: ছিদ্দিকুর রহমান:
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জননেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পির নির্দেশনায় শুরু থেকে করোনা প্রতিরোধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর। তিনি এই দুর্যোগে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন থাকার আহবান করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাই নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। পৌর শহরের সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে তিনি মাছ ও সবজি বাজারকে পি.এইচ.জি মডেল হাই স্কুল মাঠে স্থানান্তিরত করেছেন। যা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
মাননীয় মেয়র শহরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে আরও ৩০টি ডাস্টবিন স্থাপন করেছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনি প্রতিদিন প্রায় দুই-তিনবার শহর পরিদর্শন করছেন। ব্যবসায়ীদের যথা স্থানে ময়লা ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানেই সমস্যা দেখছেন, সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে শুরু থেকে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন। বিভিন্ন স্থানে উন্মুক্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এসবের মধ্যেও শহরের ডিভাইডারে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জননেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পির অনুদান পৌছে দিচ্ছেন। সামাজিক দুরত্ব রেখে মেয়র নিজে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যবিত্ত পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, বিশেষ করে সি.এন.জি চালক, মাইক্রোবাস চালক, ট্রাক চালক, বাবুর্চি সমিতি, সেলুন সমিতি, নির্মাণ শ্রমিক, দিন মজুর সহ অন্যান্যদের মাঝেও প্রতিনিয়ত এই অনুদান সামগ্রী বিতরণ করছেন। পৌরসভার অভ্যন্তরে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল প্রদান করছেন। তিনি শহরের ভেতরে এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
নয়াগ্রামে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হলে মাননীয় মেয়র সেখানে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সিলেটে প্রেরণের করেছেন এবং বিয়ানীবাজার বাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন। বাহির থেকে কোন লোক এলাকায় প্রবেশ করলে তিনি সেই ব্যক্তির বাসা-বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। দুবাগে দ্বিতীয় করোনা রোগী সনাক্ত হলে তিনি সেখানে গিয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং বাহির থেকে কেউ বিয়ানীবাজারে প্রবেশ করলে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিয়ানীবাজারের ডাক্তার, পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে এভাবে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর। চলমান এ যুদ্ধে যেখানে প্রত্যেকের জীবনের শঙ্কা রয়েছে, সেখানে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন মানবতার কল্যাণে। স্যোসাল মিডিয়ায় মেয়রের প্রতিদিনের নানামুখী কার্যক্রম দেখে দেশ-বিদেশের সকলেই উনার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। অনেকেই বলছেন, এই বিপদে মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর প্রকৃত বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
বৈশ্বিক এ দুর্যোগে অসহায় গোটা পৃথিবী। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও দিন-দিন এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মুখামুখি দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, নগরবাসীর সেবা, প্রশাসনিক দায়িত্বশীলতা, মানবিক দায়বদ্ধতা, হৃদয়ের মহানুভবতা এবং সর্বোপরি মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর। যা উনার দৈনিন্দিন কর্মযজ্ঞে ফুটে উঠেছে। দেশজুড়ে পৌরসভার একজন মেয়র হিসেবে সত্যিই তিনি অতুলনীয়। বিশ্বের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষ যেখানে নিজেকে আবদ্ধ রেখে প্রতিনিয়ত বাঁচার সংগ্রাম করছে, সেখানে মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুরের দিবারাত্রির নিরলস পরিশ্রম যেন এক সাহসী যোদ্ধার রণাঙ্গনের ইতিহাস। আমরা ভাগ্যবান তিনি আমাদের নগর পিতা, আমরা গর্বিত তিনি আমাদেরই নেতা।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।-শিক্ষা সম্পাদক, গোলাবশাহ কিশোর সংঘ, কসবা, বিয়ানীবাজার।
সংবাদটি শেয়ার করুন।