বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের গল্প শুনেছেন পিতার মুখে কৈশরে। পঞ্চ খন্ডে প্রাথমিক শিক্ষা, সিলেট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও তিতুমীর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করেন। নিজের পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যৌবনে পদার্পণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে যুক্ত করেন রাজপথে ছাত্রলীগের মিছিলে সারওয়ার ভাই।
বর্তমান সময়ে পৃথিবী জুড়ে করোনা নামক কি এক অদৃশ্য শক্তি নিস্তব্ধ করে দিয়েছে মানবজাতিকে, অস্ত্র বিহীন চলছে যুদ্ধ, মৃত্যুর ছোবলে তুলেছে সারা পৃথিবী, সম্প্রতি অবিশ্বাস্য ভাবে দ্রুতগতিতে অদৃশ্য শক্তি কোভিড ১৯ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমিতে, লাখ ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা, ক্রমশই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, সিলেটর বহু অঞ্চল রেড জোন করে দেওয়া হয়েছে, আমাদের বিয়ানী বাজারও এই বাহিরে নয়। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছি আত্মীয় স্বজন সহ এলাকার মানুষের, জন্মভূমির মানুষ ভাল থাকলে আমরা প্রবাসীরা ভালো থাকি। আমাদের দেহ নিয়ে প্রবাসে পড়ে থাকলেও মন রয়ে গেছে বাংলাদেশে, যেখানে আমাদের শৈশব, কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত জন্মভূমিতে, দেশের মানুষ আমাদেরকে নিয়ে কে কোন ভাষায় গালি দিলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না, কারণ তাদের গালির গুণগত মান প্রমাণ করে দিবে পারিবারিক মর্যাদা আর ঐতিহ্য কেমন ছিল।
জনপ্রতিনিধি না হয়েও বিয়ানী বাজার ও গোলাপগঞ্জে অসহায়, অবহেলিত মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিরামহীন নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জনাব সারওয়ার হোসেন, মানবিক আপিল থেকে শুরু করে সামাজিক আপিল কোন কিছুতেই না বলতে পারেননি, কখনো নিজের পকেট থেকে স্বাধ্য মতো সহযোগিতা করা, আবার কখনো সরকারের বিভিন্ন তহবিল থেকে নিজ প্রচেষ্টায় আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দেওয়া, এই ভাবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছেন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য, আজকের মহামারি কালে তার ব্যতিক্রম নয়।
মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে যখন মানুষ আতঙ্কিত, মা তার সন্তান কে বুকে নিতে পারছে না, সন্তান তার বৃদ্ধ বাবা কে স্পর্শ করতে পারছে না। পরিবারের কেউ আসে নাই শেষ বারের মতো দেখা করতে। সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন জনাব সারওয়ার হোসেন ।গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এই সংকটকালীন মুহুর্তে। নিজের সাধ্য মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ ঔষধ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে দুই উপজেলার অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে। তাছাড়া অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দেওয়া উপহার নিজে উপস্থিত থেকে সঠিক মানুষের হাতে তুলে দিতে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন উনার সহকর্মী সহ সিলেটের বাসার অনেক সদস্য, তিনি গ্রামের বাড়ি বিয়ানী বাজারে ছিলেন প্রায় ২০ দিন, প্রতিনিয়ত বিয়ানীবাজারে নিজ বাড়িতে থেকে মানুষের কষ্ট নিবারনের চেষ্টা অব্যাহত রেখে যাচ্ছেন। সর্বশেষ নিরাপদে করোনার নমুনা সংগ্রহে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৪টি বুথ স্থাপন করলেন জনাব সরওয়ার হোসেন।
কঠিন এ সময়ে অনেক জনপ্রতিনিধিরা নিজেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছেন, বিধি মোতাবেক ভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন, অনেকেই আবার নির্দেশ পালন করে যাচ্ছেন। কঠিনতম করোনা পরিস্থিতির সময়ে কিছু মানুষ তাদের দান খয়রাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকছেন। আমাদের বিয়ানী বাজারে কিছু কিছু স্থানে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রাজনীতি করণের নানা অভিযোগ উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এমন সমালোচনার মধ্যেও আমাদের অঞ্চলের রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ময়দানে করোনা মহামারি মোকাবিলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি করোনা মহামারী সময়ে তাদের পরিশ্রম উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বিভিন্ন এলাকায় প্রগতিশীল একঝাঁক যুবক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠিত করে করোনা যুদ্ধে অসহায় মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন, এমনকি কেহ মৃত্যু বরণ করলে তার জীবনের শেষ অনুষ্ঠানটি যত্ন সহকারে করে যাচ্ছেন। বিয়ানী বাজারে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম সহ অনেক রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এবং এই অঞ্চলের প্রবাসী প্রায় প্রতিটি সামাজিক সংগঠন গুলি মানবতার হাত অব্যাহত রেখেছে। কোভিড ১৯ কি এক ভয়ংকর মহামারি, সৃষ্টি কর্তা কাকে কি ভাবে তার কাছে নিয়ে যাবেন সেটা তিনি নিজেই ভালো জানেন, কিন্তু পৃথিবীর এই মহু মায়া থেকে বের হওয়া অনেক কঠিন, শেষ বারের মতো পরিবারের কেউ আসে নাই দেখা করতে, এই সমাজের মানুষ কত নিষ্ঠুর হতে পারে কোভিড ১৯ তা প্রমাণ করে দিয়েছে, সারওয়ার ভাই আপনার এই ত্যাগ ও মহিমার কথা এলাকা বাসী আমৃত্যু স্মরণ করবে, মানুষের মাঝে বেঁচে থাকেন আপন কর্মে।-যুক্তরাজ্য প্রবাসী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
সংবাদটি শেয়ার করুন।