প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

করোনার ‘রেডজোনে’ বিয়ানীবাজার: ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ

admin
প্রকাশিত জুন ৭, ২০২০, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
করোনার ‘রেডজোনে’ বিয়ানীবাজার: ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার:

মহামারী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির লাগাম টানতে দেশে অঞ্চল ভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার ফলশ্রুতিতে আজ থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে লকডাউন কার্যক্রম। জানা গেছে, রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে রেড জোনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সরকার ঘোষিত রেডজোনের আওতায় আছে পুরো সিলেট জেলা। আর এই জেলার মধ্যে অবস্থান হওয়ায় বিয়ানীবাজারও রেডজোনের অন্তর্গত উপজেলা। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে রেড জোনে ‘যে কোনো ব্যবস্থা’ নেবে পুলিশ। এই জোনে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারবে না, ভেতর থেকে কেউ বের হতে পারবে না। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব জানান, সিলেট বিভাগকে রেডজোন ঘোষণা করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক কোন আদেশ পাইনি। তবে আদেশ আসার পরই কড়াঁ লকডাউনের কাজ শুরু হবে।

 

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, সরকারি নির্দেশণা বাস্তবায়নে কঠোর হবে আইনশৃংখলা বাহিনী। কোন ধরণের যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা। এমনকি ব্যাটারী চালিত রিস্কাও বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে করোনা প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলেন, শেষ সুযোগ হিসেবে এখনও আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। আমরা বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছি- যেসব ওয়ার্ডে ৪০ জনের বেশি আক্রান্ত সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা। রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া কিছু খোলা থাকবে না। কেউ মাস্ক না পরলে দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা আদায় করতে হবে।

 

করোনা মোকাবেলায় দেশের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি, তারা রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধের সুপারিশ করেছেন। সরকারও তেমনটাই ভাবছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটি থাকলেও মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ঘরে রাখা যায়নি। তাই এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এমন আরো কিছু পরামর্শ আছে, কর্তৃপক্ষ প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই ইতিবাচক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই একটি ‘করোনা মানচিত্র’ তুলে ধরা হয়েছে, যার মাধ্যমে আক্রান্ত বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনের ভাগ করা হয়েছে দেশকে। ৫০ জেলা ও ৪০০ উপজেলাকে রেড জোন (পুরোপুরি লকডাউন) হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ইয়েলো জোন হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৩ জেলা ও ১৯ উপজেলাকে, এসব এলাকায় আংশিক লকডাউন কার্যকর হবে। গ্রিন জোন (লকডাউন নয়) হিসেবে দেখানো হয়েছে ১ জেলা ও ৭৫ উপজেলাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.