প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ঈদগাহে নয়, বিয়ানীবাজারের মসজিদে-মসজিদে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি

admin
প্রকাশিত মে ১৭, ২০২০, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
ঈদগাহে নয়, বিয়ানীবাজারের মসজিদে-মসজিদে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার:

মহামারি করোনার বিস্তার ঠেকাতে এবার একটু আগেভাগেই সরকার থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে কোন খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ নয়। খোলা জায়গা সাধারণত ঈদগাহকে কেন্দ্র করে সুরম্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়। আর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুই ঈদের নামাজ সাধারণত ঈদগাহে অনুষ্টিত হতে থাকে। তবে এবার সরকারি ঘোষণার পর থেকে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিয়ানীবাজারের মসজিদগুলো ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ঈদের নামাজের প্রস্তুতির বার্তা হিসেবে গত জুম্মায় বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লীদের ঈদের নামাজের বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু করোনার কারণে ২৭০ বছরের পুরনো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানেও ঈদের নামাজ বাতিল করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানেও ঈদের নামাজ করা থেকে বিরত রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কসবা গোলাবশাহ হাফিজিয়া কমপ্লেক্স (ইমামবাড়ি) এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নিপু জানান, এবার সরকারি নির্দেশণা থাকায় ইমামবাড়ি ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্টিত হবেনা। তবে মসজিদে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায় করা হবে। ইমামবাড়ি ঈদগাহ ময়দানে উপজেলার বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্টিত হয়ে থাকে। পৌরশহরের ফতেহপুর হায়দর শাহ ঈদগাহ ময়দানে নামাজ হবে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি মুহতামিম হাফেজ আব্দুর রহিম । তিনি বলেন, ঈদগাহে না হলে মসজিদে জামাতের ব্যবস্থা করা হবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব বলেন, ধর্ম মন্ত্রনালয় থেকে ঈদের নামাজ আদায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবার উপজেলার সবক’টি ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় না করে মসজিদভিত্তিক নামাজ আদায়ের জন্য বলে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এক মসজিদে একাধিক জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে মসজিদে নামাজ আদায় করলেও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই পালন করতে হবে। বিষয়টি আমরা আরো বেশী করে প্রচারের ব্যবস্থা করছি।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: আব্দুস শুকুর জানান, পৌর এলাকার যেসব ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়, তা এবার বন্ধ রাখতে অনুরোধ করছি। আপনারা সবাই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করুন।

এদিকে ঈদের নামাজ আদায়ে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ইতোমধ্যে জীবানুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। যার-যার বাড়ি থেকে জায়নামাজ নিয়ে অজু আদায় করে মসজিদে এসে ঈদের নামাজ আদায় করার তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মসজিদের দায়িত্বশীলরা।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় এবার প্রায় ১১০টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে। এতে প্রায় সোয়ালাখ মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.