প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

আসুন উদ্দোক্তা হই , কর্মহীনদের পাশে দাড়াই -কামরুল হাসান মুন্না

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৩, ২০২০, ০৭:৪৭ অপরাহ্ণ
আসুন উদ্দোক্তা হই , কর্মহীনদের পাশে দাড়াই -কামরুল হাসান মুন্না
বিল্ডিংয়ের শহর বিয়ানীবাজার । না শুধু শহর নয় বিল্ডিংয়ের গ্রামও বলা যেতে পারে বিয়ানীবাজার কে । এই উপজেলার প্রতিটা গ্রামে দুই বা তিন বা তার চেয়ে বেশী তালার বিল্ডিংয়ের ছড়াছড়ি ।
এসব বিল্ডিংয়ে থাকার মতো নেই কোন মানুষ । আছেন একজন বা দুইজন বাড়ির পাহাড়াদার ।
মালিকরা থাকেন লন্ডন বা আমেরিকায় । গ্রামে বিশাল বিশাল বাড়ি তৈরী করার কারন মাঝে মধ্যে পাঁচ বছর বা দশ বছর পর দেশে গেলে এক মাস বা দুই মাস ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকার জন্য এই বিশাল অট্রালিকার ব্যাবস্থা ।
এই এক মাস বা দুই মাস থাকার পর বছরের পর বছর ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা হয় । তখন ঘরে রুমের মধ্যে বাসা করে মাকড়সার জাল । কেউ আবার বাড়ির পাহাড়াদার দিয়ে মাসে মাসে দরজা জানালা খুলে রুমের মধ্যে ন্যাচরাল বাতাসের ব্যাবস্থা করে দেন ।
এসব বাড়ি তৈরীতে খরচ হয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে কোটি টাকা । প্রবাসীরা এসব কোটি টাকার বাড়ি গ্রামে করে থাকেন লন্ডন আমেরিকায় ।
তারা কোটি টাকা ইনভেস্ট করেন শুধু মাত্র এক বা দুই মাস দেশে গেলে আরাম করার জন্য ।
এর পরে এসব বাড়ি যেন মনে হয় শূনষান নি:স্তব্ধ শত বছরের পূরান বন্ধ ঘর । মানুষ নিজের শখ আর আরামের জন্য কি না করতে পারে , তার জন্যই এতো বিশাল বিশাল বিল্ডিং ।
এসব বিল্ডিংয়ে শুধু মালিকেরই সুনাম । আর এলাকার গরিব মানুষের দু:খের কেন্দ্রস্থল ।
দু:খের কেন্দ্রস্থল বলার কারন হলো এলাকার গরিব মানুষেরা রোজ আনে রোজ খায় । তারার আশা থাকে তার এলাকার বড় বড় ধনিরা তাদের সাহায্য করবে বা তাদের জন্য রুটি রুজির ব্যাবস্থা করে দিবে ।
আসলে কতইনা ভালো হতো এসব কোটিপতিরা যদি এলাকায় কোন কর্মক্ষেত্রের ব্যাবস্থা করে দিতো ।
কর্মহীনরা কাজ পেতো আর রুজগারহীনরা রুটির ব্যাবস্থা করতে পারত ।
কোটিপতিরা যদি এলাকার মধ্যে গরিব দেখে দেখে কর্মহীনদের কাজের জন্য কয়েকটি রিক্সা বা টম টম বা সিএনজির ব্যাবস্থা করে দিতো তাহলে তারা সপ্তাহে বা মাসে ঐ মালিককে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতো তাতে মালিকের সহ এলাকার গরিব মানুষেরও উপকার হতো ।
আমাদের উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের কল কারখানা বা উৎপাদনমূলক কোম্পানি তৈরীর প্রবনতা নাই বললেই চলে। দুই একটা কল কারখানা তৈরী হলে দেখাদেখি আরো কল-কারখানা তৈরী হতো সময়ের ব্যাবধানে ।
আমাদের উপজেলা সবদিকে এগিয়ে থাকলেও ঐ একটা দিকে আমরী পিছিয়ে আছি উদ্দোক্তা হওয়া বা উদ্দোক্তা তৈরী করাতে ।
উপজেলার বিত্তমানসহ প্রবাসীদের প্রতি আবেদন রইল আপনারা আপনাদের পরিশ্রমের টাকা ব্যাংকে ফেলে না রেখে উদ্দোক্তা হয়ে উঠুন । বিভিন্ন মাধ্যেমে আপনি উদ্দোক্তা হয়ে উঠার অনেক সুযোগ রয়েছে । আপনি প্লান করে এগিয়ে যান ।
আপনার উদ্দোক্তা হওয়ার মাধ্যেমে আপনার এলাকার কর্মহীনরা কর্মের সুযোগ পাবে । তাতে একেকটা পরিবার বেঁচে থাকার অবলম্বন খুজে পাবে । আর সাথে তো থাকবেই আপনার টাকা দিয়ে টাকা আসার পলিসি ।
– সাবেক প্রভাষক: বৈরাগীবাজার আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ, বিয়ানীবাজার, সিলেট

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.