.
উত্তর-সত্য-যুগের কার্ণিশে দাঁড়িয়ে ভাবি
কতটুকু ইগোতে কতটুকু জিঘাংসা থাকলে
খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে কদর্য মুখ?
এই সার্বজনীন প্রতারণার সময়ে অবিশুদ্ধ বাতাসে মিশে আছে
কতটুকু প্রহসনের ইতিহাস?
কতটুকু অজ্ঞানতায় ও হিংসায় দম্ভের পাথর ফেটে বের হয়ে আসে কুৎসিত দৃশ্যগুলো?
কতটুকু দুর্বিনয়ে মানুষ আঁকতে পারে নেকড়েদের সুনিপুণ শিল্পকলা?
সভ্যতার বিভৎস হুংকারে কতটুকু রক্তস্রোতে ভেসে যায় ইউফ্রেটিস?
কতটুকু পচনে সভ্যতার মঞ্চ কাঁপায় উলঙ্গ অস্কার?
আমি অবাক হই,
আমার কার্ণিশের একপাশে আলো আর একপাশে অন্ধকার,
একপাশে অগুনতি লাশ, প্রাত্যহিক মৃত্যুর আর্তনাদ ও হতবিহ্বল ডানাভাঙ্গা আজরাইল,
আর আরেক পাশে সভ্যতার পৈশাচিক উল্লাস।
আমি অবাক হয়ে দেখি, সভ্যতার ‘ভ্যানিটি ফেয়ারে’ কীভাবে বিক্রি হয় মানুষের ভুল ইতিহাস।
আমার বিকলাঙ্গ ও অভুক্ত দুপুরগুলোতে অদৃশ্য কাফন জড়িয়ে এইসব ধুলো-মরুর কংকালগুলো নির্ভয়ে ঘুমিয়ে থাকে।
আর আমার বুকের জমিনে বিরামহীন বাজতে থাকে নৈঃশব্দ্যের ঘাতক সাইরেন,
আমার অনুর্বর প্রার্থনাগুলো শষ্যহীন ক্ষেতে লুটিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত ট্যাংকের মতো,
তবুও আমি ত্রিপুরী মৃদঙে গাইতে থাকি ‘শিড়দাঁড়াভাঙ্গা’ সাম্যের গান।
আর গিরগিটির মতো রং বদলাতে বদলাতে ভাবি, কতটা পশু আমি, কতটা মানুষ?
কতটুকু মিথ্যা লেগে আছে নামে?
কতটুকু দেশ আমি, কতটুকু ক্লেশ?
কতটুকু প্রহসন মিশে আছে ঘামে?
(এপ্রিল ০৯, ২০২৪)