
সম্পাদকীয়—
আগামী প্রজন্ম পত্রিকার ১৫তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আমাদের শুভেচ্ছা এবং অভিবাদন গ্রহণ করুন। গত ১৪ বছর ধরে এই দিনটিতে আপনাদের শুভেচ্ছা জানানোর কাজটি আমি আনন্দের সঙ্গে করে থাকি। আপনারা আমাদের পাঠক, আপনারা আমাদের বন্ধু। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি।
২০০৯ সালের ১লা মে আগামী প্রজন্ম প্রকাশ পেল। আমরা সাহসের সঙ্গে সত্য প্রকাশের কাজ শুরু করলাম। আগামী প্রজন্ম আজ শুধু একটা ছাপা খবরের কাগজ নয়, অন্যতম ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম। এখনকার সময়ে সংবাদপত্রের জন্যও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে চলে এসেছে। পাঠকের চাহিদাও বহুমুখী হয়ে গেছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিদিন। নতুন করে আমাদের শিখতে হচ্ছে। সংবাদ কীভাবে লিখতে হবে, শিরোনাম কেমন হলে পাঠক আগ্রহী হবেন; আরও কত কিছু।
আমাদের ছাপাস্থান বিয়ানীবাজারের মানুষের আছে সহমর্মিতা। আছে কষ্ট সহ্য করে টিকে থাকার আর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা। পরিশ্রম করা কৃষক, মধ্যপ্রাচ্যে মগজগলা তাপে পরিশ্রম করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো শ্রমিক-এসব আমাদের প্রেরণা।
আমরা জানি, সত্য প্রকাশ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু সত্যের আছে নিজের শক্তি। এই যে আজ আগামী প্রজন্মর ছাপ কাগজ পড়তে যেমন উদগ্রীব পাঠক ঠিক তেমনি অনলাইন পোর্টালেরও আছে কয়েক হাজার অনুসারী।
আগামী প্রজন্ম সত্য কথা বলে। চাটুকারধর্মী বয়ানে বিশ্বাসী নই আমরা। আর সেই সত্য প্রকাশের পেছনে যদি কোনো উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তা হলো বিয়ানীবাজার তথা সমাজের মঙ্গল। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী প্রজন্ম’র শক্তি তার অগণিত পাঠক।
আমরা বলি, এখনই সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার সময়। আমাদের আরও অনুসন্ধানী এবং আরও সাহসী সাংবাদিকতা করতে হবে। সেটাই আগামী প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সত্য তথ্য প্রকাশের কাজটা সাহসের সঙ্গে, সততার সঙ্গে করে যাওয়ার মাধ্যমে গণমানুষের বিজয়যাত্রায় আগামী প্রজন্ম তার ভূমিকা পালন করে যেতে দ্বিধা করবে না, ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই অঙ্গীকার আমরা আবারও করতে চাই।
১৪ বছর আগের সেই শুরুর দিনের প্রতিশ্রুতি আমরা এখনো ভুলিনি। কখনো ভুলব না।
সংবাদটি শেয়ার করুন।