প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

অন্যের সম্পদের পাহারাদার ছিল সোনালি যুগের মুসলমান

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০১৯, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ
অন্যের সম্পদের পাহারাদার ছিল সোনালি যুগের মুসলমান

মোহম্মদ রুহুল আমিন খান :  ইসলামপূর্ব যুগে ইতিহাসের দুর্ধর্ষ জাতির মধ্যে আরবরা ছিল অন্যতম। নৃশংসতা, রক্তপাত, চৌর্যবৃত্তি, ব্যভিচারসহ নানা অপকর্ম ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী।

প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ও অমানবিক মূল্যবোধের ওপর আসে তীব্র বিতৃষ্ণা। সমাজ থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে নানা অপকর্ম। পরিবর্তিত হতে থাকে সমাজিক দৃশ্যপট। যারা অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করত তারাই হয়ে যায় অন্যের সম্পদের পাহারাদার। জাহেলি যুগের মানুষের হাতেই শুরু হয় সোনালি যুগের প্রারম্ভ। কেন এমন হল? তা হল কোরআন অধ্যয়ন ও তা মানার জন্য। এটাই বাস্তবতা। রাসূলের ওপর আল কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনার জন্য। আল্লাহতায়ালা বলেন, আলিফ-লাম-রা; এই কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের নির্দেশক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্ব প্রশংসিতের পথের দিকে। (সূরা ইবরাহিম-১৪)।

কোরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে জানা যায় কোনটি সঠিক, কোনটি ভুল, কোনটি পুণ্যময় কাজ আর কোনটি অপরাধ। আর পার্থক্য করা যায় কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা। আল্লাহতায়ালা বলেন : রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে কোরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৪)। পাশাপাশি সৎ কাজের পুরস্কার কি এবং অসৎ কাজের পরিণতি কি সে সম্পর্কে জানা যায় কোরআন অধ্যয়নে মাধ্যমে। ফলে কোরআন অধ্যয়নকারীর মনে অপকর্মে যেমন বিতৃষ্ণা কাজ করে তেমনি অশ্লীল ও নোংরা কাজের প্রতি জন্মায় তীব্র ঘৃণা।

বর্তমানে দেশে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। ফলে হত্যা, ধর্ষণ, নৃশংসতা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ঘৃণ্য অপরাধ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এমন অপরাধ দূর করতে সবার মধ্যে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ জাগানো একান্ত জরুরি। আর মানবিক মূল্যবোধ জাগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কোরআন অধ্যয়ন ও কোরআনে বিধিবিধান বাস্তবায়ন।

লেখক : ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.