প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জে সেলিম উদ্দিনকে নিয়ে স্বপ্নে বিভোর নেতাকর্মীরা

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ণ

 

সামিয়ান হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি:

 

বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সর্বশেষ চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন মু. সেলিম উদ্দিন। একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সিলেট-৬, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। শিবিরের অভিভাবক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার বিতর্কহীন স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি ছাত্রনেতা সেলিম উদ্দিনও ছিলেন প্রশ্নহীন। তাঁর বিরুদ্ধে কারো অনুযোগ ছিলনা। নিজের এই লালসাহীন সময়ের কথা উল্লেখ করে মু. সেলিম উদ্দিন জানান, দল এক ধরনের ক্ষমতায় থাকলেও কোন লোভ তাঁর ছিলনা। ইচ্ছে করলে বড় ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারতেন, ব্যাংক ঋণ নিয়ে আয়েশী জীবনযাপন করা যেত। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সেদিকে পা বাড়াননি। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ইসলামী মূল্যবোধের রাজনীতি আর দেশের কল্যাণের পথে নিজেকে আরো বেশী নিয়োজিত করেন। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচকে সামনে রেখে সিলেট-৬, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী আসনে প্রার্থী হতে তাকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

 

দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনার পর দুই উপজেলার সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন মু. সেলিম উদ্দিন। তিনি জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য। গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। নিজ দলের কর্মী এবং সমর্থকদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের দাবীর কথা শুনেছেন। সেই সাথে আগামী দিনে ক্ষমতায় আসার সুযোগ হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই উপজেলার সড়ক সংস্কারসহ প্রধান সমষ্স্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন-এমন বার্তাও দিচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলছেন, সেলিম উদ্দিনের বিয়ানীবাজার সফর পুরোটাই সাংগঠনিক । সংগঠনের কার্যক্রম তরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি বিয়ানীবাজার আসছেন এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজে যোগ দিচ্ছেন। তাছাড়া নির্বাচন কবে হবে সেটা এখনো পরিস্কার হয়নি। সময় আসলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো। বিগত দিনে এই আসনে চারদলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন সিলেট জেলা দক্ষিণের তৎকালীন আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান। তবে মাওলানা হাবীবকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী সুবিধা করতে পারেনি।

 

 

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেলিম উদ্দিনকে কাছে পেয়ে বেশ উজ্জীবিত জামায়াতের যুব সমর্থকরা। একজন কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রনেতা ছাত্র-যুবকদের হৃদয়ের কথা আঁচ করতে পারবেন, এমনটাই তাদের প্রত্যাশা। দলটির বিপুল সংখ্যক কর্মী এবং সমর্থকেরা প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে দলকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি নির্বাচনের মাঠ গোছানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। আর সেই কাজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিয়ানীবাজারের এক নিভৃত জনপদের সন্তান সেলিম উদ্দিন। মুলত তাঁকে নিয়েই এই আসনে কর্মপরিকল্পনা করছে জামায়াতে ইসলামী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হলে সেলিম উদ্দিন সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা এখনো মাঠ গোছানো শুরু করেননি।

 

 

এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী এগিয়ে থাকবেন বলে ধারণা করছেন দলটির তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী এবং সমর্থকেরা। তাছাড়া কেন্দ্র থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই সেলিম উদ্দিন মাঠ গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলেও দলটির প্রথম সারির কয়েক জন নেতার কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী মাঠে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে ইতিমধ্যে বিয়ানীবাজারের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। পাশাপাশি ব্যাবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের বর্তমান এবং সাবেক চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন সেলিম উদ্দিন।

 

এ বিষয়ে সেলিম উদ্দিন বলেন, দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি মাঠে কাজ করছি। নির্বাচনের সময় আসলে দল যদি আমাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিবেচনা করে তাহলে আমি মানুষের খেদমত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.